নূরুল হক,বিশেষ প্রতিনিধি: যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসনের স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের প্রার্থী এস,এম ইয়াকুব আলী ও তাঁর অনুসারী সন্ত্রাসী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন। বৃহষ্পতিবার বিকেলে মণিরামপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন এ আসনের আসনের আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বপন ভট্টাচার্য্য এবং তাঁর অনুসারীরা।

সংবাদ সম্মেলনে স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক নিয়ে ৮৯, যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষিত বিধিবিধান ও আচরণ বিধি অনুসরণ করে আমি ও আমার কর্মী সমর্থকেরা নির্বাচনের প্রচারকার্য পরিচালনা করে আসছি। সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে আমাকে ও প্রিয় প্রতীক নৌকার পক্ষে জনগণের ব্যাপক সাড়া সমগ্র মণিরামপুর এলাকায় সর্বস্তরের জনগণের মাঝে ভোট উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়েছে। নৌকার বিজয় জনগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে অবাধ ও সূষ্ঠুভাবে ভোট অনুষ্ঠিত হবার পরিবেশ খুবই সুন্দর। প্রতিদ্ব›দ্বী সকল প্রার্থীগণের প্রচার-প্রচারণা বিভিন্ন মিডিয়াসহ পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে। কিন্তু এ সুন্দর পরিবেশকে ঘোলাটে ও বির্তকিত করতে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এস,এম ইয়াকুব আলী বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মিথ্যা অজুহাত খাড়া করে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নিরপেক্ষ ভোট পরিচালনাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার লক্ষ্যে আমার বিরুদ্ধে নানা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ উত্থাপনের মাধ্যমে নির্বাচনের সূষ্ঠু পরিবেশকে বিঘিœত করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছেন। এ অপপ্রচারের অংশ হিসেবে বুধবার রাতে উপজেলার কাশিমনগর ইউনিয়নের মথুরাপুর ও মদনপুর গ্রামে আওয়ামীলীগের কর্মীদের মধ্যে ব্যক্তিস্বার্থ নিয়ে সামান্য গোলযোগ সৃষ্টি হয়। কিন্তু সামান্য বিষয়টিকে অস্বভাবিক বানাতে স্বতন্ত্র প্রার্থী এস,এম ইয়াকুব আলী নিজে নেতৃত্ব দিয়ে মাইক্রো ও মোটরসাইকেলের বহরসহ বহিরাগত সন্ত্রাসী নিয়ে ওই এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা চালায়। ইতোমধ্যে তিনি এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী, অস্ত্র মামলার আসামী, মাদক কারবারী, চাঁদাবাজ শ্রেণির নষ্ট মানুষদের সংগঠিত করে নির্বাচনী কর্মী পরিচয় দিয়ে নির্বাচনের মাঠে নামিয়ে দিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করাসহ নানা রকমের অপপ্রচার করার পায়তারা করছে। তারই জ¦লন্ত প্রমাণ কাশিমনগর ইউনিয়নের এ ঘটনা। এছাড়া এদিন সকালে উপজেলার ভোজগাতী ইউনিয়নের কুয়াদাহ বাজার এলাকায় আমার নৌকা প্রতীকের ২ কর্মীর মধ্যে একটা বিষয় নিয়ে ভুল বুঝাবুঝি সৃষ্টি হয়-যাহা স্থানীয় নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে তৎক্ষণিক মিমাংসা হয়ে যায়। অথচ এ বিষয়টি নিয়েও তিনি মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপন করেছেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নে জবাবে তিনি আরও বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী এস,এম ইয়াকুব আলী সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে ভুল তথ্য ও মনগড়া অভিযোগ উপস্থাপন করেছেন। কারণ আমি প্রার্থী হবার পর থেকে এমপি বা প্রতিমন্ত্রীর সকল সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ থেকে বিরত থেকে পরিপূর্ণভাবে আচরণ বিধি অনুসরণ করে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারনা ও কার্যক্রম চালাচ্ছি। কোন প্রকার প্রভাব প্রতিপত্তি বা স্ট্যাটাস নিয়ে কোন কাজ করছি না বা কোন ভাবে ক্ষমতা ব্যবহার করে প্রভাব বিস্তর করছি না। সুতরাং এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। এমনকি আমি কোন নির্বাচনী সভায় স্বতন্ত্র কোন প্রার্থী বা তার নির্বাচন পরিচালনা কর্মী বা সমর্থকের নামে কোন ধরনের উক্তি ব্যবহার করিনি। এ জাতীয় অভিযোগ এক্কেবার অমুলক। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মোতাবেক ঐতিহ্যবাহি সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে আমার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক জীবন ও স্ট্যাটাসকে হেয় প্রতিপন্ন করার এ অপচেষ্টাকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র আলহাজ্ব অধ্যক্ষ কাজী মাহমুদুল হাসান, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহসভাপতি আমজাদ হোসেন লাভলু, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বর্তমান তরুণ আওয়ামীলীগনেতা অ্যাড. বশির আহম্মেদ খান, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী জলি আক্তার, পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর কামরুজ্জামান কামরুল, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তারেখ মির্জা, আওয়ামীলীগনেত্রী গীতা রানী কুন্ডুসহ প্রমুখ।